ঢাকা ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঁঠাল বীজের যত উপকারিতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১
  • ১৬৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গ্রীষ্মকালকে মধুমাস বলা হয়। নানা রকম ফলে এসময় বাজার ছেয়ে যায়। আম,লিচু,কাঁঠাল কমবেশি সবারই পছন্দের। তবে কাঁঠাল আমাদের দেশের জাতীয় ফল হলেও অনেকেই গন্ধের জন্য পছন্দ করেন না। তবে পাকা কাঁঠাল না খেলেও কাঁঠালের আরো অনেক গুণাগুণ আছে। কাঁচা কাঁঠাল যেমন তরকারি হিসেবে খাওয়া যায় তেমনি কাঁঠালের বীজও অনেক উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁঠাল বীজের উপকারিতা।

১) ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি, প্রোটিন সব আছে কাঁঠালের বীজে। সঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। রক্তস্বল্পতার সমস্যা থাকলে এই বীজ খাওয়া  জরুরি।

২) ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে কাঁঠালের বীজে। তার প্রভাবে কোলেস্টেরল কমে, হজমের সুবিধাও হয়। হজম ভাল হওয়ায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে কাঁঠালের বীজ।

৩) ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও এই বীজ বেশ উপকারি। এতে উপস্থিত ফাইবার খাদ্যের কার্বোহাইড্রেট শুষে নেয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি বাড়তে পারে না।

৪) চোখের জন্যও উপকারি কাঁঠালের বীজ। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির যত্ন নেয়।

এখন কথা হলো কীভাবে খেতে কাঁঠাল বীজ।  প্রথমে রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে কাঁঠাল বীজ। তারপর কড়াইয়ে হালকা নেড়ে নিতে হবে। এরপর চাইলে মুগ ডাল দিয়ে, সবজি দিয়ে আবার বিকালের নাস্তায় চায়ের সাথেও খাওয়া যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কাঁঠাল বীজের যত উপকারিতা

আপডেট টাইম : ১১:২৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গ্রীষ্মকালকে মধুমাস বলা হয়। নানা রকম ফলে এসময় বাজার ছেয়ে যায়। আম,লিচু,কাঁঠাল কমবেশি সবারই পছন্দের। তবে কাঁঠাল আমাদের দেশের জাতীয় ফল হলেও অনেকেই গন্ধের জন্য পছন্দ করেন না। তবে পাকা কাঁঠাল না খেলেও কাঁঠালের আরো অনেক গুণাগুণ আছে। কাঁচা কাঁঠাল যেমন তরকারি হিসেবে খাওয়া যায় তেমনি কাঁঠালের বীজও অনেক উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁঠাল বীজের উপকারিতা।

১) ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি, প্রোটিন সব আছে কাঁঠালের বীজে। সঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। রক্তস্বল্পতার সমস্যা থাকলে এই বীজ খাওয়া  জরুরি।

২) ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে কাঁঠালের বীজে। তার প্রভাবে কোলেস্টেরল কমে, হজমের সুবিধাও হয়। হজম ভাল হওয়ায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে কাঁঠালের বীজ।

৩) ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও এই বীজ বেশ উপকারি। এতে উপস্থিত ফাইবার খাদ্যের কার্বোহাইড্রেট শুষে নেয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি বাড়তে পারে না।

৪) চোখের জন্যও উপকারি কাঁঠালের বীজ। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির যত্ন নেয়।

এখন কথা হলো কীভাবে খেতে কাঁঠাল বীজ।  প্রথমে রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে কাঁঠাল বীজ। তারপর কড়াইয়ে হালকা নেড়ে নিতে হবে। এরপর চাইলে মুগ ডাল দিয়ে, সবজি দিয়ে আবার বিকালের নাস্তায় চায়ের সাথেও খাওয়া যায়।